ইঞ্জিনিয়ার হয়ে বাবা মায়ের মুখ উজ্জ্বল করতে চেয়েছিল হাওড়ার শালকিয়ার বাসিন্দা ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্র মুকুট গোস্বামী। কয়েকদিন আগে লিলুয়ার এমসিকেভি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ইলেকট্রিক্যাল বিভাগের তৃতীয় বর্ষের বেশ কয়েকজন ছাত্র ট্রেনিং-এ এসেছিল অণ্ডালের ডিভিসি পাওয়ার প্ল্যান্টে। শুক্রবার অণ্ডাল বিডিও অফিসের পিছনের পুকুরে স্নান করতে গিয়ে তলিয়ে গেল মুকুট।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে মুকুট হাওড়ার শালকিয়ার বসিন্দা। লিলুয়ার বেসরকারি এমসিকেভি ইনস্টিটিউট অফ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। কয়েকদিন আগে ওই কলেজের ইলেকট্রিক্যাল বিভাগের তৃতীয় বর্ষের কয়েকজন ছাত্র অণ্ডালের ডিভিসির পাওয়ার প্ল্যান্টে ট্রেনিং-এ আসে। শুক্রবার মুকুট ও তার চার সহপাঠী পাওয়ার প্ল্যান্টের সামনে একটি পুকুরে স্নান করতে নামে। হঠাৎ মুকুট তলিয়ে গেলে তার বাকি চার বন্ধু চিৎকার করতে থাকে। কাউকে না পেয়ে তারা স্থানীয় অণ্ডাল বিডিও অফিসে ছুটে গিয়ে সাহায্য চায়। অণ্ডালের বিডিও মানস কুমার পাণ্ডা জরুরী ভিত্তিতে সিভিল ডিফেন্সের কর্মীদের নিয়ে এসে পুকুরে তল্লাশি চালালে মুকুটের মৃতদেহ উদ্ধার করে সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা।

অণ্ডাল থানার পুলিশ মুকটের বন্ধুদের আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে বলে জানা গেছে। এদিকে মৃত মুকুটের ব্যাঙ্গালোরে থাকা দিদিকে খবর দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

অণ্ডালের বিডিও মানস কুমার পাণ্ডা বলেন,’খুব দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা মৃত মুকুটের দেহ পুকুর থেকে উদ্ধার করেছেন। পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমেছে। ব্যাঙ্গালোরে থাকা মুকুটের দিদিকে খবর দেওয়া হয়েছে।’

মুকুটের এক বন্ধু অরিত্র বলে, ‘পাঁচ বন্ধু অণ্ডালে ডিভিসির পাওয়ার প্ল্যান্টে ট্রেনিং করতে এসেছিলাম। কিন্তু পুকুরে স্নান করতে নেমে হঠাৎ মুকুট তলিয়ে যায়।’ পুলিশ মুকুটের বন্ধুদের আলাদা আলাদা ভাবে বয়ান রেকর্ড করছে বলে জানা গেছে। মৃতদেহটি ময়না তদন্তের জন্য আসানসোল মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।