পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান জেলা সংখ্যালঘু ও মাদ্রাসা শিক্ষা দপ্তর আয়োজিত মাদ্রাসা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও প্রতিযোগিতায় বৃহস্পতিবার কৃতি ছাত্র-ছাত্রীদের হাতে পুরষ্কার তুলে দেওয়া হল। এদিন বর্ধমান সংস্কৃতি লোকমঞ্চে এই অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন রাজ্যের প্রাণী সম্পদ বিকাশ দপ্তরের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ, জেলা পরিষদ সভাধিপতি দেবু টুডু, জেলাশাসক অনুরাগ শ্রীবাস্তব, মাদ্রাসা শিক্ষা দপ্তরের অধিকর্তা আবিদ হোসেন, জেলা সংখ্যালঘু বিষয়ক আধিকারিক শামস তিবরেজ আনসারী, জেলা সর্বশিক্ষা প্রকল্পাধিকারিক শারদ্বতি চৌধুরী প্রমুখরা। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন মাদ্রাসা শিক্ষক আসিফ ইকবাল, জহুর আলম এবং আলি হোসেন মিদ্যা। এবছর হাইমাদ্রাসায় ৭২৮ নম্বর পেয়ে রাজ্যে নবম স্থান এবং জেলায় প্রথম স্থান অধিকার করায় পাঁচপাড়া হাই মাদ্রাসার ছাত্র কাজিনূর সেখকে সম্বর্ধনা দেওয়া হয়। একইসঙ্গে জেলায় ৭১৫ পেয়ে দ্বিতীয় স্থানাধিকারী পাঁচপাড়া হাইমাদ্রাসার ছাত্র সানাউল্লা সেখ এবং ৭০৯ পেয়ে তৃতীয় স্থানাধিকারী কুলগড়িয়া গার্লস হাইমাদ্রাসার ছাত্রী সায়মা খাতুনকেও সর্ম্বধনা জানানো হয়। এরই পাশাপাশি জেলায় ৬৬৭ পেয়ে আলিমে প্রথম স্থান অধিকার করায় কদমপুর সিনিয়র মাদ্রাসার ছাত্র সেখ রেজাউন এবং ফাজিলে ৪০৬ পেয়ে জেলায় মহিলাদের মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করায় কদমপুর সিনিয়র মাদ্রাসার ছাত্রী রোকেয়া খাতুনকেও সম্বর্ধনা জানানো হয়। এছাড়াও কেরাত পাঠ, আবৃত্তি, একক নৃত্য, গজল, ক্যুইজ, তাত্ক্ষণিক বক্তৃতা, বিতর্ক প্রভৃতি সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় প্রথম দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানাধিকারীদের পুরষ্কৃত করা হয়। পুরষ্কৃত করা হয় রবীন্দ্র নৃত্য, লোকনৃত্য এবং নাটক প্রদর্শনেও কৃতিত্বের জন্য। তাৎক্ষণিক বক্তৃতার জন্য ৩জনকে, গজলের জন্য (উর্দু ও বাংলা) ৬জনকে, আবৃত্তির জন্য ৮জনকে পুরষ্কৃত করা হয়। এছাড়াও পুরষ্কৃত করা হয় বক্তৃতার জন্য ৪জনকে, বির্তকের জন্য ৩জনকে, কেরাত পাঠের জন্য ৩জনকে, বসে আঁকোর জন্য ২জনকে এবং একক নৃত্যের জন্য ৩জনকে পুরষ্কৃত করা হয়।

Like Us On Facebook