সম্পত্তি নিয়ে পারিবারিক বিবাদের জেরে খুন হতে হল এক ব্যক্তিকে। মৃতের নাম শ্যামল পাঁজা(৫০)। বাড়ি রায়না থানার নাড়ুগ্রাম পশ্চিমপাড়ায়। মৃতের স্ত্রী সাধনা পাঁজা বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন, দীর্ঘ প্রায় ৭ বছর ধরে তাঁর স্বামী শ্যামল পাঁজার সঙ্গে অন্য ৫ ভাইয়ের সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ চলছে। তা নিয়ে বর্ধমান আদালতে মামলাও চলছে। সাধনাদেবী অভিযোগ করেছেন, পারিবারিক উত্তরাধিকার সূত্রে তাঁর স্বামী সহ ৫ ভাইয়ের সম্পত্তি ছাড়াও শ্যামলবাবু নিজে বেশ কিছু সম্পত্তি, পুকুর প্রভৃতি করেছেন। আর তা নিয়েই গত প্রায় ৭ বছর ধরে অন্য ভাইদের সঙ্গে বিরোধ চলছে। তিনি জানিয়েছেন, বুধবার দুপুরে আদালতের অনুমতি নিয়েই শ্যামলবাবু নিজের পুকুরের পানা পরিষ্কার করার কাজ করছিলেন। সেই সময় অন্য দুই ভাই এবং তাঁদের স্ত্রী সহ কয়েকজন প্রতিবেশী এসে পুকুর পরিষ্কারে বাধা দেয়। তা নিয়ে প্রথমে বচসা এবং হাতাহাতি হয়। এই সময় লাঠিসোটা সহ বাবলা গাছের ডাল দিয়ে বেধড়ক পেটানো হয় শ্যামলবাবুকে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এই ঘটনায় রায়না থানায় একটি অভিযোগও দায়ের করা হয়েছে। তিনি আরও জানিয়েছেন, এর আগেও তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে মিথ্যা ধর্ষণের মামলা করা হয়। তাঁকে গ্রেপ্তারও করা হয়। এরপরেও তাঁকে লাগাতার খুনের হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। বর্ধমানের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দ্যুতিমান ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, এই ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই পুলিশ শ্যামল পাঁজাকে খুনের ঘটনায় ৪ জন মহিলাকে গ্রেপ্তার করেছে। তারমধ্যে মূল অভিযুক্ত তাপসী পাঁজাকে পুলিশ তদন্তের স্বার্থে হেপাজতে নিয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, সম্পত্তিগত বিবাদের জেরেই এই খুন করা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। তদন্তে গিয়ে পুলিশ রক্তমাখা বাবলা গাছের ডালও উদ্ধার করেছে।

Like Us On Facebook