সিউড়িতে গানের অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য খুব সকালে বের হয়েছিলেন ‘দোহার’-এর প্রাণপুরুষ কালিকাপ্রসাদ ভট্টাচার্য সঙ্গে তাঁর দলের সদস্যরা। কিন্তু সেই অনুষ্ঠানে তাঁর আর গান গাওয়া হল না। কলকাতা থেকে সিউড়ি যাবার পথে গুড়াপের কাছে পথ দুর্ঘটনায় অকাল মৃত্যু ঘটল প্রতিভাবান শিল্পী কালিকাপ্রসাদের। আহত হলেন তাঁর দলের সদস্যরা। বর্তমানে তাঁরা চিকিৎসাধীন।

কালিকাপ্রসাদের মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছে বর্ধমান সহ বাংলার শিল্পীমহল। সকাল বেলায় আকস্মিক এই মৃত্যুর খবরটা শুনে তাঁর গুণমুগ্ধ, সঙ্গীতপ্রেমী ও বর্ধমানের শিল্পীরা ছুটে যান বর্ধমান হাসপাতালে। বর্ধমানের সঙ্গীতমহলে নেমে আসে শোকের ছায়া। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের আধিকারিক ও সঙ্গীতশিল্পী শুভপ্রসাদ নন্দী মজুমদার ও শিক্ষক তথা শিল্পী দেবেশ ঠাকুর শোকে ভেঙে পড়েন। বর্ধমানের বিভিন্ন শিল্পীরা বর্ধমান ডট কমকে তাঁদের প্রতিক্রিয়া জানান-

তবলা বাদক প্রসেনজিৎ পোদ্দার এলাহাবাদ থেকে বলেন, ‘সঙ্গীত জগতের অপূরণীয় ক্ষতি হল। উনি লোকসঙ্গীতের আইকন ছিলেন। তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করছি।’

উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতশিল্পী প্রাণকৃষ্ণ সই – খুবই দুঃখজনক ঘটনা। নতুন প্রজন্মের শিল্পীদের পথ প্রদর্শক ছিলেন।

কলাবতী মিউজিক একাডেমীর কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় – বাংলার পুরাতনী গান ও লোকসঙ্গীতে অগাধ পাণ্ডিত্য ছিল কালিকাপ্রসাদ বাবুর। দোহার ছাড়াও সা-রে-গা-মা-পা’র মাধ্যমে তিনি বহু মানুষের মন জয় করেছিলেন এবং খুবই গুণী মানুষ ছিলেন।

কন্ঠ সঙ্গীতশিল্পী অমিতা সেন – তিনি অসময়ে চলে গেলেন। লোকসঙ্গীতের অপূরণীয় ক্ষতি। বাংলা একজন প্রতিভাবান শিল্পীকে হারাল।