অভিযুক্ত উত্তম দাস ও ভুয়ো নিয়োগপত্র

দুর্গাপুরের ন‍্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজিতে(এনআইটি) চাকরি দেওয়ার নাম করে বেশ ভালোই প্রতারণার ব‍্যবসা ফেঁদে ছিল এনআইটি ক‍্যাম্পাস সংলগ্ন রাঁচি কলোনির তপোবন এলাকার বাসিন্দা প্রতারক উত্তম দাস। একসময় সে ফরিদপুর গ্রামে বাস করত কিন্তু প্রতারণা ব‍্যবসা ফাঁদার পর সকলের বিশ্বাসভাজন হতে সে বাড়ির ঠিকানা বদলে এনআইটি ক‍্যাম্পাসের পাশে রাঁচি কলোনি সংলগ্ন তপোবন এলাকায় বাস করতে থাকে। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কাজে এনআইটির মতো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাওয়ার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে চাকরি দেওয়ার নাম করে উত্তম দাস বিভিন্ন লোকের কাছ থেকে টাকা নিতে শুরু করে বলে অভিযোগ।

কিন্তু কাউকেই চাকরি দিতে না পারায় নানা অজুহাতে চাকরি প্রর্থীদের ফেরাত বলে অভিযোগ। চাকরি প্রর্থীদের চাপে পড়ে সম্প্রতি দু’জনকে উত্তম দাস এনআইটির নিয়োগ পত্র দেয়। তাদের মধ্যে কর্ণ বাউরি নামে এক চাকরি প্রার্থী সেই নিয়োগ পত্র নিয়ে এনআইটি কর্তৃপক্ষের কাছে গেল কর্ণ যে প্রতারিত হয়েছেন তা বুঝতে অসুবিধা হয়নি। এরপরেই শনিবার রাতে স্থানীয় ফরিদপুর গ্রামের প্রতারণার শিকার যুবকরা একজোট হয়ে উত্তম দাসকে বাড়ি থেকে আটক করে ফরিদপুর ফাঁড়ির পুলিশের হাতে তুলে দেয়।

লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে রবিবার পুলিশ উত্তম দাসকে গ্রেফতার করে সোমবার দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে হাজির করলে আদালত ধৃতের চারদিনের পুলিশ হেফাজতে নির্দেশ দেয়। জানা গেছে, অভিযোগকারী লক্ষণ ধীবর, কর্ণ বাউরির মতো বহু যুবক কেউ ৩০ হাজার কেউ বা ৪০ হাজার আবার কেউ কেউ ৫০ হাজার টাকা সহ প্রায় ১২ লাখ টাকার মতো দেয় উত্তম দাসকে বলে অভিযোগ করেন প্রতারিত যুবক কর্ণ বাউরি ও লক্ষণ ধীবররা। পুলিশ ধৃতকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে চায় এই প্রতারণা চক্রের আসল পান্ডা কে বা কারা। এনআইটিতে চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণার খবর ছড়িয়ে পড়তেই এনআইটি জুড়ে চাঞ্চল্য ছড়ায় সোমবার।

অভিযোগকরী যুবকরা
Like Us On Facebook