প্রয়োজনীয় ২১১ ফুট জলস্তর পৌঁছানোর পর দুর্গাপুরের দামোদর ব্যারেজের ক্ষতিগ্রস্ত ১ নম্বর গেটের সামনে অত্যাধুনিক ফ্লোটিং গেট বসানোর কাজ শুরু করল রাজ্য সেচ দপ্তরের কর্মীরা। ভাসমান এই ইমার্জেন্সি গেট বসানোর কাজ শেষ হলে পুরানো লকগেটটি সংস্কার করা হবে বলে সেচ দপ্তর সূত্রে জানা গেছে।

ভাসমান এই ইমার্জেন্সি গেটটিকে সোমবার সকালে ক্রেন দিয়ে সেচ দপ্তরের ইঞ্জিনিয়ার ও কর্মীরা দামোদরের জলে ভাসিয়ে ১৩ নম্বর গেট থেকে ১ নম্বর গেটে নিয়ে আসেন। প্রায় দেড় থেকে দুই ঘন্টা সময় ধরে ধীরে ধীরে আপদকালীন এই গেটটিকে ক্ষতিগ্রস্ত ১ নম্বর গেটে আনার কাজ হয়। ফ্লোটিং গেট বসানোর কাজ শেষ হলে পাম্পিং স্টেশনগুলিতে জল ভরার কাজ করা হবে বলে জানান হয়েছে। সেচ দপ্তর সূত্র মারফত জানা গেছে, ৬৫ টন ওজনের এই ইমার্জেন্সি গেট প্রতিস্থাপনের কাজ চলছে জোর কদমে। ভবিষতে ব্যারেজের অন্যান্য ৩৩টি লক গেটেও ফ্লোটিং গেট বসানো হবে। রবিবার সেচমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, আগামী দিন রাজ্যের অন্যান্য নদীর মতো দামোদর ব্যারেজেও গ্যান্ট্রী ক্রেন বসানোর ব্যবস্থা করছে সেচ দপ্তর। ব্যারেজের বিভিন্ন মেরামতি সহ আপদকালীন পরিস্থিতিতে এই ক্রেন খুবই কার্যকরী।

দুর্গাপুর নগর নিগমের কমিশনার অমিতাভ দাস জানান, অঙ্গদপুর পাম্পিং স্টেশনের ইনটেক পয়েন্টে জলস্তর বাড়তে শুরু করেছে।

এদিকে দামোদর জলে পরিপূর্ণ হলেও এখনও পর্যন্ত জলশূন্য দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চল। কখন জল সরবরাহ স্বাভাবিক হবে দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলের মানুষ সেই সুসংবাদ জানতে না পেরে দিশাহারা। বেসরকারি অনেক স্কুল পানীয় জলের অভাবে সোমবার ছুটি ঘোষণা করে দেয়। সরকারি স্কুল গুলি সরকারি নোটিস না পাওয়ায় সোমবার স্কুল পানীয় জলশূন্য থাকলে স্কুল খোলা রেখেছে। দুর্গাপুরের বিভিন্ন কল কারখানা ও হাসপাতাল গুলিও প্রয়োজনীয় জলের অভাবে ধুঁকছে। ডিএমসি, আসানসোল পৌরসভা ও ডিএসপি কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় জল ট্যাঙ্কারের মাধ্যমে বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ করলেও সেই জল প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। দুর্গাপুরের মহকুমাশাসক বলেন, দামোদর ব্যারেজ প্রয়োজনীয় ২১১ ফুট জলস্তর ছুঁয়েছে। আশা করছি খুব শীঘ্রই পাম্পিং স্টেশনগুলিতে জল পৌঁছবে এবং তারপর পাম্পিং স্টেশনগুলি চালু হয়ে যাবে।

অঙ্গদপুর পাম্পিং স্টেশনের ইনটেক পয়েন্টে জলস্তর বাড়ছে
অঙ্গদপুর পাম্পিং স্টেশনের ইনটেক পয়েন্টে জলস্তর বাড়ছে
Like Us On Facebook