পশ্চিমবঙ্গ জয়েন্ট এন্ট্রান্স ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ফল প্রকাশ হল বুধবার। দুর্গাপুরের হেমশীলা মডেল স্কুলের ঋত্বিক গাঙ্গুলি সপ্তম স্থান অধিকার করে দুর্গাপুরের নাম উজ্বল করল। ঋত্বিকের বাড়ি দুর্গাপুরের বিধাননগরে। বাবার নাম কালিদাস গাঙ্গুলি। মায়ের নাম সুপ্রীতি গাঙ্গুলি। ঋত্বিক দুর্গাপুরের সেন্ট মাইকেল স্কুলে দশম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করে। এরপর দুর্গাপুরের হেমশীলা মডেল স্কুলে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হয়। বাবা কালিদাস গাঙ্গুলি সেন্ট মাইকেল স্কুলের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক। বাবা পদার্থবিদ্যা ও অঙ্কের শিক্ষক ছিলেন। দাদা সাহ্ণিক গুজরাতে কর্মরত।

ঋত্বিক কম্পিউটার বিষয়ে আইআইটি বা যাদবপুরে পড়াশোনা করার ইচ্ছার কথা জানায়। ঋত্বিক বলে, খবরটা শুনে প্রথমে অবাক হয়ে যাই। ভালো পরীক্ষা দিয়েছিলাম তবে এতো ভালো ফল করব আশা করিনি। ঋত্বিক বলে, বাবা পদার্থবিদ্যা ও অঙ্কের শিক্ষক হওয়ায় আমার বিজ্ঞানের ভীতটা বাবাই তৈরি করেছেন। ফলে আমি ছোটবেলা থেকেই বাবার দেখানো পথেই পড়াশোনা করেছি। বাবা পড়াশোনা ও বিভিন্ন প্রতিযোগিতা মূলক পরীক্ষায় বসে উপভোগ করতে শিখিয়েছেন। আমি বিভিন্ন প্রতিযোগিতা মূলক পরীক্ষায় বসে সফল হয়েছি। বাবা, মা ও দাদার সঙ্গে দুর্গাপুর হেমশীলা মডেল স্কুল ও ফিটজি কোচিং সেন্টারের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ঋত্বিক তার সাফল্য উৎসর্গ করে। বই পড়তে, ক্রিকেট ও ব্যাডমিন্টন খেলতে ভালবাসে ঋত্বিক।

ঋত্বিকের বাবা কালিদাস গাঙ্গুলি বলেন, আমি কোনদিন ছেলের উপর পড়াশোনার জন্য চাপ দিইনি। ও বরাবর পড়াশোনায় ভালো। ভালো ফল করেছে। আমরা খুশি। আমি কেবল বলতাম রেজাল্ট সব নয়। একজন ভালো মানুষ হওয়া খুব জরুরি।

Like Us On Facebook