কাঁকসার বিজেপি কর্মী সন্দীপ ঘোষের খুন কোন রাজনৈতিক খুন নয় বলে দাবি দুর্গাপুরের ডিসিপি অভিষেক মোদীর। সন্দীপ ঘোষ খুনে মূল অভিযুক্ত শেখ সাইফুলকে গ্রেফতারের দাবিতে শুক্রবার বিজেপি কর্মীদের ডিসিপি কার্যালয় ঘেরাও ঘিরে ধুন্ধুমার কান্ড ঘটার পর উপস্থিত সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে একথা বলেন দুর্গাপুরের ডিসিপি অভিষেক মোদী। ডিসিপির দাবি, এই খুনের কেসে কোন রাজনৈতিক অভিসন্ধি নেই। এটি সম্পূর্ণ ভাবে অপরাধমূলক ঘটনা। ডিসিপি অভিষেক মোদীর দাবি এই মার্ডার কেসে ইতিমধ্যেই তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি অভিযুক্তদের ধরার জন্য জোর তৎপরতা চলছে।

এদিকে শুক্রবার বিজেপির পশ্চিম বর্ধমান জেলা নেতৃবৃন্দ সন্দীপ ঘোষ খুনের মূল অভিযুক্ত শেখ সাইফুলকে গ্রেফতারের দাবিতে ডিসিপি কার্যালয় ঘেরাও করতে গেলে আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের কর্তব্যরত পুলিশ, কমব্যাট ফোর্সরা ব্যারিকেড দিয়ে বিজেপি কর্মীদের থানার বাইরে পথ আটকানোর চেষ্টা করে। এরপরেই বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের বাগবিতণ্ডা থেকে ধস্তাধস্তি শুরু হয়ে যায়। বিজেপি কর্মীরা থানার বাইরের ব্যারিকেড ভেঙে থানার ভিতরে ঢুকতে গেলে দুই পক্ষের মধ্যে তীব্র উত্তেজনা ছড়ায়। এরমধ্যেই বিজেপি কর্মীরা থানার বাইরে সরকারি প্রকল্পের প্রচারের জন্য লাগানো মুখ্যমন্ত্রীর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি দেওয়া হোডিং ছিঁড়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। তারপর থানার পাঁচিলটিও ভেঙে দেয়। পুলিশ বিজেপি কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ করে বলে অভিযোগ বিজেপি কর্মীদের। পুলিশের লাঠিচার্জের ঘটনায় বিজেপির বেশকয়েকজন আহত হন। তারমধ্যে বিজেপির রাজ্য নেতা রাজু মুখার্জির মাথায় আঘাত লাগে বলে অভিযোগ। এরপরেই বিজেপি কর্মীরা থানার সামনে বসে পড়ে পথ অবরোধ করেন। বিজেপি কর্মীদের দাবি বিনা প্ররোচনায় লাঠিচার্জের জন্য পুলিশকে ক্ষমা চাইতে হবে।

বিজেপির পশ্চিম বর্ধমান জেলার সভাপতি লক্ষণ ঘড়ুই বলেন, ‘এরপর আমরা সন্দীপ ঘোষ খুনের বিচার চাইতে আসানসোলে গিয়ে পুলিশ কমিশনারের কার্যালয় ঘেরাও করব। মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতারের জন্য সাতদিন সময় দিলাম পুলিশকে।’ পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বিজেপি কর্মীরা থানার পাঁচিল ভেঙে থানায় ঢোকার চেষ্টা করার জন্য পৃথক মামলা রুজু করতে পারে। বিজেপির রাজ্য নেতা রাজু মুখার্জিকে লাঠিচার্জের অভিযোগ অস্বীকার করে ডিসিপি অভিষেক মোদী বলেন, ‘এটা মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে।’






Like Us On Facebook