কাশ্মীরের পুলওয়ামায় জঙ্গী হানার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় কিছু পোস্ট শেয়ার করে সহপাঠীদের রোষানলে পড়েছিল দুর্গাপুরের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির(এনআইটি) ইমফরমেশন টেকনোলজির তৃতীয় বর্ষের ছাত্র সৃজন গোস্বামী। কাশ্মীরের পুলওয়ামায় জঙ্গী হানার পর সোশ্যাল মিডিয়াতে সৃজন জওয়ানদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি জানানো কিছু পোস্ট শেয়ার করার পাশাপাশি এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের গাফলতি নিয়ে কিছু পোস্ট শেয়ার করেন বলে দাবি সৃজনের।

এরপরেই লাঞ্চ ব্রেকে সৃজনের ২০-২৫ জন সহপাঠী এসে সৃজনের উপর চড়াও হয় বলে অভিযোগ সৃজনের। সৃজনকে সরকার বিরোধী পোস্ট করা থেকে বিরত থাকতে শাসিয়ে সৃজনকে সোশ্যাল মিডিয়া থেকে ওই পোস্ট ডিলিট করতে চাপ দেয় বলে অভিযোগ সৃজনের। সৃজন পোস্ট ডিলিট করতে রাজি না হলে সৃজনকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ সৃজনের।

এই ঘটনার পর সৃজনের বন্ধুরা অবস্থা বেগতিক বুঝে সৃজনকে বাঁচাতে সৃজনকে বাড়ি পাঠিয়ে দেয় বলে জানা যায়। এই খবর চাউর হতেই সোশ্যাল মিডিয়া বন্ধুরা, এনআইটির অধ্যাপকরা, অন্যান্য সহপাঠীরা এবং সমাজের সর্বস্তরের মানুষ সৃজনের পাশে দাঁড়ায়। প্রতিবাদী সৃজন সোমবার তাঁর বাবা ও মা কে সঙ্গে নিয়ে ফের এনআইটি ক্যাম্পাসে ফিরে আসে পঠন-পাঠনের উদ্দেশ্যে।

আতঙ্কিত সৃজনের বাবা শ্যামসুন্দর গোস্বামী বলেন, ‘কাশ্মীরের পুলওয়ামায় জঙ্গী হানার পর সোশ্যাল মিডিয়াতে আমার ছেলে তার নিজস্ব মতামত ব্যক্ত করায় তার কিছু সহপাঠী যে ভাবে সৃজনকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছে তাতে আমরা বেশ আতঙ্কিত হয়ে পড়েছি। বিষয়টি আমি এনআইটি কলেজ কর্তৃপক্ষকে জানাতে মেল করেছি। কলেজ কর্তৃপক্ষ, সৃজনের অধ্যাপকরা, অন্যান্য সহপাঠীরা এবং সমাজের সর্বস্তরের মানুষ যে ভাবে সৃজনের পাশে দাঁড়িয়েছে তাতে সৃজন আরও আত্মবিশ্বাসী হয়ে কলেজে ক্লাস করতে ফিরে এসেছে।’

এনআইটির ডিন, স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার, ড. বিশ্বজিৎ হালদার বলেন, ‘সৃজন আমাদের অফিসিয়ালি কিছু জানায়নি। সংবাদ মাধ্যম থেকে আমরা সব জেনেছি। সৃজনের পঠন-পাঠনের কোন অসুবিধা হবে না। আমরা কড়া নজরদারি রাখছি। সৃজনের অভিযোগ পেলে আমরা ডিসিপ্লিনারি কমিটি গঠন করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেব।’

Like Us On Facebook