আর্সেনিক-মুক্ত জল পেতে সাধারণ মানুষের নাগালের মধ্যেই আর্সেনিক ফিল্টার নিয়ে এল কেন্দ্রীয় গবেষণা সংস্থা সেন্ট্রাল মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং রিসার্চ ইনস্টিটিউট (সিএমইআরআই)। রবিবার সিএমইআরআই-এর ‘ডায়মণ্ড জুবিলি’ উপলক্ষে এক প্রদর্শনীতে আর্সেনিক ও ফ্লুরাইড ফিল্টার প্রদর্শন করা হয়। মাত্র ৯০০ টাকায় আর্সেনিক ও ১২০০ টাকায় ফ্লুরাইড নিয়ন্ত্রিত পানীয় জল পাওয়ার জন্য ফিল্টার তৈরির প্রযুক্তি এখন সিএমইআরআই-এর দখলে।

ফ্লুরাইড ফিল্টার

পশ্চিমবঙ্গে মালদহ, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, বর্ধমান, হাওড়া, হুগলি এবং উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার মতো আটটি জেলার বেশ কিছু ব্লকে ভূগর্ভ থেকে তোলা জলে উচ্চমাত্রায় আর্সেনিকের উপস্থিতি লক্ষ করা যায়। আবার বাঁকুড়া, পুরুলিয়া জেলার ভূগর্ভস্থ জল উচ্চমাত্রার ফ্লুরাইডে দূষিত। এই সমস্ত এলাকার খেটে খাওয়া মানুষের নাগালের মধ্যের দামে শুদ্ধ পানীয় জল দিতে সিএমইআরআই তৈরি করেছে আর্সেনিক ও ফ্লুরাইড ফিল্টার।

সিএমইআরআই-এর তৈরি করা পোর্টেবল আর্সেনিক ফিল্টারটির ধারণ ক্ষমতা ২৪ লিটার। জল পরিস্রুত করার জন্য ফিল্টারটিতে কোন বিদ্যুৎ-এর প্রয়োজন হয় না। এই ফিল্টারে উদ্ভিদের বর্জ্য পদার্থ ব্যবহার করে জলকে খুব দ্রুত দূষণমুক্ত করার প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। ফিল্টারটি ভূগর্ভস্থ দূষিত জল থেকে আর্সেনিক ছাড়াও আয়রণ, বিভিন্ন ব্যাকটিরিয়া ও অন্যান্য ক্ষতিকারক মিনারেল দূর করতে সক্ষম। ফিল্টারের প্রতিস্থাপনযোগ্য কার্টিজটি ১৮০০ লিটার জল পরিস্রুত করতে পারে এবং এই ফিল্টার ঘন্টায় ৫ লিটার পরিস্রুত জল দিতে পারে।

সিএমইআরআই-এর তৈরি করা পোর্টেবল ফ্লুরাইড ফিল্টারটির ধারণ ক্ষমতা ১৫ লিটার। জল পরিস্রুত করার জন্য ফিল্টারটিতে কোন বিদ্যুৎ-এর প্রয়োজন হয় না। ফিল্টারটি ভূগর্ভস্থ দূষিত জলের ফ্লুরাইড নিয়ন্ত্রণ ছাড়াও বিভিন্ন ব্যাকটিরিয়া, জীবাণু ও অন্যান্য ক্ষতিকারক মিনারেল দূর করতে সক্ষম। ফিল্টারের প্রতিস্থাপনযোগ্য কার্টিজটি ২০০০ লিটার জল পরিস্রুত করতে পারে এবং এই ফিল্টার ঘন্টায় ৫ লিটার পরিস্রুত জল দিতে পারে।