চাকরি দেওয়ার নাম করে প্রতারণা করায় সদ্য পাশ করা প্রতারিত কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন ছাত্রী প্রতারককে ধরে গণধোলাই দিয়ে তুলে দিল পুলিশের হাতে। শুক্রবার সকালে এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায় বর্ধমান শহরের বড়বাজার এলাকায়। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, যুবতীদের বায়োডাটা, ছবি এবং ১২০০ টাকা করে নিয়ে স্কুলে চাকরি করে দেওয়ার প্রলোভন দিয়েছিল তাপস মণ্ডল ওরফে হায়দার আলি নামে এক ব্যাক্তি।

প্রতারিত যুবতীদের কাছ থেকে জানা গেছে, নিজেকে পুলিশ কর্মী পরিচয় দিয়ে এই যুবক সদ্য পাশ করা মেয়েদের চাকরির টোপ দিত। এজন্য তাদের কাছ থেকে ১২০০ টাকা এবং তাদের পূর্ণাঙ্গ একটি ছবিও নিত। সম্প্রতি এক যুবতীর পূর্ণাঙ্গ ছবি চাওয়ায় ওই ব্যাক্তিকে কারণ জানতে চাইলে তার কথাবার্তায় সন্দেহ হয় ওই যুবতীর। কায়দা করে ওই ব্যাক্তিকে দেখা করতে বলে এক যুবতী। এরপর বাকি প্রতারিতদের সঙ্গে যোগাযোগ করে শুক্রবার প্রতারক যখন বিসি রোডে দেখা করতে আসে মেয়েরা তাকে ধরে মারধর শুরু করে। স্থানীয় লোকজন বিষয়টি জানার পর রীতিমতো গণধোলাই দেওয়া হয় ওই ব্যাক্তিকে। পুলিশকে খবর দেওয়া হলে পুলিশ এসে প্রতারককে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, প্রায় ৫০ জনেরও বেশি মেয়ের কাছ থেকে ছবি ও বায়োডাটা এবং নগদ টাকা হাতিয়েছে এই ব্যাক্তি। পুলিশ ওই ব্যাক্তির কাছ থেকে ১০টি মোবাইল সিম এবং বেশ কিছু মহিলার ছবি উদ্ধার করেছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসায় ধৃতের বাড়ি বর্ধমান শহরের বাজেপ্রতাপপুর এলাকায় বলে জানিয়েছে। যুবতীদের ছবি নিয়ে ধৃত ব্যাক্তি অন্য কোন কাজে লাগাতো কিনা কিংবা এর সঙ্গে কোনো চক্র জড়িত কিনা পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।

Like Us On Facebook