সরস্বতীর পুজোর পরের দিন বর্ধামান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক ছাত্র-ছাত্রীদের তত্ত্ব বিনিময় রীতি দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে। সেই রীতি মেনেই আজ, সোমবার তত্ত্ব নিয়ে যাওয়া হয় এক ছাত্রাবাস থেকে অন্য ছাত্রাবাসে। মীরাবাঈ, নিবেদিতা, প্রীতিলতা, সরোজিনী, গার্গী ছাত্রাবাস থেকে ছাত্রীরা সেজেগুজে যায় অরবিন্দ, চিত্তরঞ্জন, নেতাজি, বিবেকানন্দ, রবীন্দ্র কিংবা আইনস্টাইন হস্টেলে। তেমনই ছেলেরাও বাজনা বাজিয়ে তত্ত্ব নিয়ে পৌঁছয় ছাত্রী হস্টেলগুলিতে। তত্ত্বের ডালিতে সাধারণত থাকে চকোলেট, চিপস, পারফিউম, সন্দেশ সহ কত কি। থাকে হৃদয়ের অর্ঘ্যও।

সোমবার সকাল থেকে দেখা গেল বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক ছাত্রীরা হাতে উপহারের ডালি(তত্ত্ব) নিয়ে ঢাকের সঙ্গে সুশৃঙ্খল শোভাযাত্রার মাধ্যমে ছাত্রদের হোস্টেলে প্রবেশ করল। ওই সময় ছাত্ররাও তাদের হোস্টেলের গেটে সারিবদ্ধ ভাবে দাঁড়িয়ে ছাত্রীদের অভ্যর্থনা জানায় পুষ্পবৃষ্টির মাধ্যমে। অনুরূপে ছাত্ররাও তত্ত্ব নিয়ে ছাত্রীদের হোস্টেলে যায়। ছাত্রীরাও তাদের পুষ্পবৃষ্টির মাধ্যমে অভ্যর্থনা জানায়। পৌঁছনোর পরেই অতিথি আপ্যায়ন থেকে ছিল খাওয়াদাওয়ার এলাহি ব্যবস্থা।

বছরের অন্যান্য সময়ে ছাত্রীদের হোস্টেলে ছাত্রদের প্রবেশের অনেক বিধিনিষেধ থাকে। সরস্বতী পুজোর পরের দিনটিতে তত্ত্ব বিনিময় উপলক্ষে সেই রুদ্ধদ্বার উন্মুক্ত হয়ে যায়। এদিন ছাত্রাবাসে ঢোকায় কোনও বাধা নেই। সরস্বতী পুজোর পরের দিনে এই তত্ত্ব বিনিময়ের মাধ্যমে বন্ধুত্বের সুসম্পর্ক নিবিড় করা হয় এমনটাই মত ছাত্র-ছাত্রীদের। এই দিনটির জন্য অধীর আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষায় থাকে ছাত্র-ছাত্রীরা। মাস খানেক আগে থেকেই শুরু হয়ে যায় সরস্বতী পুজো ও তত্ত্ব বিনিময় অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি। এদিন প্রথম বর্ষের ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে উৎসাহ থাকে চোখে পড়ার মতো। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে আসা ছাত্র-ছাত্রীদের মনে আজীবন গেঁথে থাকে এই বিশেষ দিনটি।



Like Us On Facebook