একজন সফল পশু চিকিৎসক আরেকজন দক্ষ ইঞ্জিনিয়ার, নিজেদের সফল পেশাদারী জীবন ছেড়ে দু’জনেই ব্রতী হয়েছেন মানব সেবায়। দু’জনেই এখন ব্লক উন্নয়ন আধিকারিক(বিডিও)। দুর্গাপুর মহকুমার অণ্ডাল ও দুর্গাপুর-ফরিদপুর ব্লকের এই দুই মানিক জোড় বিডিও’র কর্মকান্ডে গর্বিত গোটা বর্ধমান জেলা প্রশাসন সহ বাঁকুড়া থেকে হাবড়া।

মানস কুমার পান্ডা
শুভ সিংহ রায়

বাঁকুড়ার হীড়বাঁধ ব্লকের অজ গ্রামের ছেলে স্বর্ণ পদক প্রাপ্ত পশু চিকিৎসক মানস কুমার পান্ডা এখন অণ্ডালের বিডিও। হাবড়ার অশোক নগরের ছেলে শুভ সিংহ রায় মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের কৃতী ছাত্র ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করে টিসিএস সংস্থায় যোগ দিয়েছিলেন। বর্তমানে শুভ বাবু দুর্গাপুর-ফরিদপুর ব্লকের বিডিও।

মানস বাবুর বাবা ছিলেন শিক্ষক। মানস বাবু বাঁকুড়ার হীড়বাঁধ ব্লকের তৎকালীন বিডিও সুবর্ণ কুমার রায়চৌধুরীকে দেখেই এলাকা উন্নয়ন ও মানুষের সেবায় ব্রতী হওয়ার স্বপ্ন দেখেন। শুভ বাবুর বাবা প্রফেসর। স্বামী বিবেকানন্দের আদর্শে অনুপ্রাণিত দুই বিডিওই শিক্ষক পরিবারের হওয়ায় সত্যনিষ্ঠা ও ন্যায় পরায়ণতাকে জীবনের মূল মন্ত্র করে মুখ্যমন্ত্রীর ব্লক উন্নয়ন নির্দেশিকাকে কার্যকর করতে মানুষের পাশে দাঁড়ান।

বর্ধমানের জেলাশাসক, অতিরিক্ত জেলাশাসক(উন্নয়ন) ও দুর্গাপুরের মহকুমাশাসকের অভিভাবকত্বে এবং পঞ্চায়েত সহ সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতায় দুই বিডিওর এই সাফল্য জোড়া মুকুট এনে দিল বর্ধমান জেলা প্রশাসনের মাথায়।

বর্ধমানের জেলাশাসক সৌমিত্র মোহন থেকে দুর্গাপুরের মহকুমাশাসক শঙ্খ সাঁতরা যেমন গর্বিত তেমনি পাশের জেলা বাঁকুড়া ও হাবড়াও খুশি ঘরের ছেলেদের রাজ্যের সেরা দশ বিডিওর তালিকায় স্থান পাওয়া এবং পঞ্চায়েত সম্মেলনে সম্মানিত হওয়ায়। এই দুই বিডিও এখানেই থেমে থাকতে চান না, তাঁরা আরও বেশি বেশি করে মুখ্যমন্ত্রীর উন্নয়নের রথকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চান মানুষকে সঙ্গে নিয়ে।