প্রেমিকের অত‍্যাচার থেকে বাঁচতে দুর্গাপুরের ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ছাত্রী পূজা কুমারী ‌গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। পুলিশের কাছ থেকে পূজার সুইসাইড নোট দেখে এই রকমই দাবি পূজার পরিবারের লোকজনদের।

পূজার পরিবারের দাবি, পূজার প্রেমিক একই ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ছাত্র হীরালাল পূজার সঙ্গে সম্পর্ক রাখার পাশাপাশি ওই কলেজের আর‌ও তিনজন ছাত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক রেখে চলছিল। পূজা প্রতিবাদ করলে পূজাকে মারধর করে হীরালাল। পূজার আত্মহত্যার খবর জানতে পেরেই গা ঢাকা দেয় হীরালাল। পূজার পরিবারের পক্ষ থেকে হীরালালের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের হতেই গয়ার বাসিন্দা হীরালালকে খুঁজতে পুলিশ বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি শুরু করেছে বলে জানা গেছে। পুলিশ হীরালালকে ধরতে হীরালালের দুই বন্ধুকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে বলে জানা গেছে। এদিকে, পূজার মৃতদেহ পুলিশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানোর পর তদন্তের স্বার্থে পূজার হোস্টেলের ৩৩৩ নম্বর রুমটি সিল করে দেয়।

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার দুর্গাপুরের বিধাননগরে একটি বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ছাত্রী পূজা কুমারীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় কলেজের হস্টেল থেকে। পূজা তৃতীয় বর্ষের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং-এর মেধাবী ছাত্রী ছিল। বৃহস্পতিবার সকালে পূজার বাড়ি থেকে ফোন আসে কিন্তু পূজা ফোন না ধরায় অন্য এক ছাত্রীকে পূজার বাড়ির লোকজন ফোন করে পূজার খবর নিতে বলেন। এরপর ওই ছাত্রী হস্টেলের তিনতলায় গিয়ে দেখে পূজার রুম বন্ধ। জানালা দিয়ে উঁকি দিতেই পূজাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখে। এরপরে কলেজ কর্তৃপক্ষ খবর পেয়ে স্থানীয় পুলিশ ও পূজার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে। পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে। পূজার রুম থেকে একটি সুইসাইড নোটও পায় পুলিশ।

Like Us On Facebook