বিরোধী এজেন্টদের বুথ থেকে বের করে দেওয়ার ইতিহাস রয়েছে। কিন্তু বিরোধী মহিলা এজেন্টের পোশাক খুলে নেওয়ার চেষ্টার ঘটনা সম্ভবত এই প্রথম ঘটল দুর্গাপুরের ইতিহাসে। এই অভিযোগ করলেন দুর্গাপুরের বিজেপি নেতৃত্ব। পুরভোটে শাসকদলের হয়ে কাজ করতে এসে বহিরাগতরা ভোট লুঠ, এজেন্টদের বুথ থেকে বের করে দিয়ে সন্ত্রাস এবং মহিলা এজেন্টদের হেনস্থা করার অভিযোগে বিজেপি কর্মীরা ক্ষোভে ফেটে পড়ে ভোট বয়কট করেন। এর পর দুর্গাপুর পৌর নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসারের অফিসের সামনে হাইকোর্টের নজরদারিতে পুরভোট করার দাবিতে অবস্থান বিক্ষোভে বসে পড়েন। জানা গেছে, বিজেপি প্রার্থীর মহিলা এজেন্টকে হেনস্থা করার ঘটনাটি ঘটে দুর্গাপুরের ২নং ওয়ার্ডের ৭৪নং বুথে। এই বুথে বিজেপির মহিলা এজেন্টকে বুথ থেকে টেনে বের করে এনে পাশের জঙ্গলে নিয়ে যাওয়ার সময় পোশাক খোলার চেষ্টা করে বহিরাগতরা বলে অভিযোগ বিজেপি নেতৃত্বের। নির্যাতিতা ওই মহিলা এজেন্ট বলেন, বুথ থেকে আমাকে টেনে হিঁচড়ে পাশের একটি জঙ্গলে নিয়ে যাওয়ার সময় আমার পোশাক খুলতে যায় বহিরাগত দুষ্কৃতীরা। এরা সব রানীগঞ্জ, জামুরিয়া, আসানসোল থেকে এসেছে তৃণমূলকে বিজয়ী করতে। নির্যাতিতা আরও বলেন, দুর্গাপুরে সন্ত্রাস, ভোট লুঠের রাজনীতি আগেও হয়েছে। কিন্তু মহিলা এজেন্টদের বুথ থেকে বের করে এনে পোশাক খোলার চেষ্টার ঘটনা এই প্রথম ঘটল দুর্গাপুরে। এটাই এখন বাংলার নতুন সংস্কৃতি।

একই ভাবে দুর্গাপুরের ৪ নং ওয়ার্ডের ৪৬ নং বুথে বিরোধী এজেন্টদের তৃণমূল কংগ্রেসের দুষ্কৃতীরা বের করতে গেলে বিজেপি প্রার্থী প্রদীপ কুমার মন্ডল বাধা দিতে গেলে তৃণমূলের মাসলম্যানরা প্রদীপ মন্ডল কে ভারতী মিলনি প্রাইমারি স্কুলে বেধড়ক মারধর করে বলে অভিযোগ বিজেপি নেতৃত্বের।

বিজেপি প্রার্থীদের বিক্ষোভ মহকুমাশাসকের দপ্তরের সামনে