রোগীর সাথে দুর্ব্যবহারের অভিযোগে উত্তেজনা ছড়াল পানাগড় প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে আসে কাঁকসা থানার পুলিশ। জানা গেছে, গত সাত দিন ধরে জ্বরে আক্রান্ত হয়ে কাঁকসা কলোনি এলাকার এক যুবক ভর্তি আছেন পানাগড় প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। ওই যুবক ও তাঁর পরিবারের অভিযোগ, হাসপাতালে ঠিক মতো চিকিৎসা হয় না এমনকি নিম্নমানের খাবার দেওয়া হয় রোগীদের। তাঁদের আরও অভিযোগ, মঙ্গলবার সকালে রক্ত পরীক্ষার রিপোর্ট দেখার জন্য এবং শরীর খারাপ হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসককে জানাতে গেলে ওই চিকিৎসক রোগীর সাথে দুর্ব্যবহার করেন। পাশাপাশি রোগীকে রীতিমত মারতে উদ্যত হন বলে অভিযোগ।

স্থানীয় যুবকদের অভিযোগ, গত শনিবার রাস্তায় পড়ে থাকা এক অসুস্থ পথচারীকে পানাগড় প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করতে নিয়ে গেলে ওই চিকিৎসক বলেন, ওই পথচারী রোগী নন উনি মাতাল। এমনকি ওই পথচারীকে চিকিৎসা করা তো দূরের কথা উল্টে ওই চিকিৎসক বলেন, এটা ধর্মশালা নয় যে যখন তখন যাকে তাকে ভর্তি নেওয়া হবে। গোটা ঘটনার ভিডিও তুলে রাখেন এলাকার কয়েকজন যুবক। অবশেষে হাসপাতালে ওই পথচারীকে ভর্তি না নেওয়া হলে। বাধ্য হয়ে তাকে অন্যত্র থাকার ব্যবস্থা করেন ওই যুবকরা। সোমবার ওই পথচারীর মৃত্য হওয়ায় তাঁর মৃত্যুর কারণ হিসেবে ওই চিকিৎসকের দিকেই আঙ্গুল তুলেছেন এলাকাবাসীরা।

গোটা ঘটনা নিয়ে ওই চিকিৎসক কোন কথা না বললেও স্বাস্থ্য কেন্দ্রের বিএমওএইচ রথীন মুখার্জি বলেন, ঘটনা তিনি জানতে পেরেছেন তিনি খোঁজ নিয়ে দেখবেন কি ঘটেছিল। বার বার একই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠায় ওই চিকিৎসকের বদলির দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসীরা।

Like Us On Facebook